1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
খাগড়াছড়িতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ - আলোকিত খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার এবং এর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম রাপ্রু মারমা (৩২)। সে খাগড়াছড়ি সদর থানার সৌয়ারাপাড়া এলাকার রেদাব্দ মারমার সন্তান। এ উপলক্ষে রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মামলার রহস্য এবং আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বক্তব্য প্রদান করেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘গত বছরের ১১ নভেম্বর আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার স্বপ্ন মোহন কারবারী এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে ভিকটিম সুজন্ত ত্রিপুরা সুজন (২৪) কে অজ্ঞাতনামা আসামীরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে উক্ত চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী সুজিতা ত্রিপুরা (২২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।’
পুলিশ সুপার বলেন, এজাহার প্রাপ্তির সাথে সাথে উক্ত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচন ও ঘাতকদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসারদের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। এসময় হত্যা মামলাটি গভীর ও নিবিড় ভাবে তদন্ত করে রহস্য উম্মোচনের জন্য সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এরপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে উক্ত ক্লুলেস মামলার রহস্য উন্মোচিত হয়। তদন্তেপ্রাপ্ত ঘাতক আসামী রাপ্রু মারমা (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. তানভীর হাসান, ডিবি ওসি সামসুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সুজন্ত ত্রিপুরা সুজন (২৪) ও গ্রেফতারকৃত আসামী রাপ্রু মারমা (৩২) উভয়ে পেশায় অটোচালক এবং মাদকসেবী হিসেবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ভিকটিম সুজন্ত ত্রিপুরা সুজন (২৪) নারী আসক্তি ছিলো বলে জানা যায়। হত্যাকান্ডের বেশ কিছুদিন পূর্বে তাদের মধ্যে বাজারে অটো ইজিবাইকের সিরিয়াল নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা এবং মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত বিবাদের কারণে গ্রেফতারকৃত আসামী রাপ্রু মারমা (৩২) ভিকটিম সুজন্ত ত্রিপুরা সুজন (২৪) কে হত্যার হুমকি দেয়। ঘাতক রাপ্রু মারমা (৩২) ভিকটিমের পরিবারের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চালায়। খুন ঘটনার আপোষের বিষয়ে উক্ত আসামী ভিকটিম সুজনের স্ত্রী তথা মামলার অন্তসত্ত্বা বাদীনিকে পনের হাজার টাকা ও পরবর্তীতে ভরণপোষন ও পারিবারিক খরচের জন্য মাসিক হিসেবে টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাপ্রু মারমা (৩২) হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, রাপ্রু মারমা (৩২)র বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ২০১৮ সালের দুটি ক্রিমিনাল মামলা চলমান ছিল। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। গ্রেফতার এড়াতে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ